স্বাধীনতা দিবস ও জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মুম্বই, নাগপুর, কল্যাণ-সহ মহারাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি পুরনিগম এবং তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদে মাংসের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি হয়। এই সিদ্ধান্ত ঘিরে দেশজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আসাউদ্দিন ওয়েইসি এবং এনডিএ-র সহযোগী নেতা অজিত পওয়ারও।
কসাইখানা বিতর্কে হস্তক্ষেপ করে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস জানান, এ বিষয়ে সরকারের কোনও আগ্রহ নেই। তাঁর বক্তব্য, “কে কী খাবেন, তা নিয়ে সরকার মাথা ঘামাবে না। সরকারের আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। নিরামিষাশীদের নিয়ে অযথা মন্তব্যও বন্ধ হওয়া উচিত।”
১৫ আগস্ট কসাইখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ফড়ণবিস বলেন, এটি পুরনিগমগুলির নিজস্ব সিদ্ধান্ত, রাজ্য সরকারের নয়। তিনি জানান, ১৯৮৮ সালে একটি নির্দেশ জারি হয়েছিল, কিন্তু তিনি নিজেও তা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না।
তবে বিরোধীদের অভিযোগ, পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাওয়ায় ফড়ণবিস এখন ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করছেন। তাঁদের দাবি, বহুদিন ধরেই শাসক দল ও সহযোগী দলের কিছু নেতা মাছ ও মাংসের দোকান বন্ধের হুমকি দিয়ে আসছিলেন, যা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। যদিও ফড়ণবিসের বক্তব্যে স্পষ্ট, সরকারের পক্ষ থেকে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে কোনওরকম হস্তক্ষেপ আপাতত হবে না। তবুও রাজনৈতিক মহলে বিরোধীদের অভিযোগ ঘিরে আলোচনা ও বিতর্ক জারি রয়েছে।
No comments:
Post a Comment